প্রতিহিংসামূলক মামলায় কারাগারে রুমেল খান, স্ত্রীর দাবি স্বামী নির্দোষ

বিশেষ প্রতিনিধি :কুলাউড়ায় জিলান হত্যায় প্রতিপক্ষের করা প্রতিহিংসামূলক মামলায় বিনা অপরাধে জেল খাটছেন উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খান। তাঁর স্ত্রী সাজিয়া সুলতানার দাবি, পূর্বের একটি বিরোধের জেরে প্রতিহিংসামূলক ও মিথ্যা মামলায় স্বামীকে জড়ানো হয়েছে।

নিয়ে রুমেল খানের ভাতিজা ও আমার ছেলে ঝগড়া করে। বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে আমি রুমেল খানের বাড়িতে যাই। সেখানে তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। এরই জের ধরে রুমেলের পরিকল্পনায় গিয়াস মিয়ার ছেলে সাজু ও আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে ৭-৮ জন মিলে আমার ছেলের উপর নৃশংসভাবে হামলা করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই বিদ্যুৎ পুরকায়স্থ বলেন, ‘মামলার এজাহারে রুমেল খানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করেছেন বাদী। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অধিকতর তদন্তে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে’। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, নিহতের পিতা আব্দুল হামিদের দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে থানায় হত্যা রুজু হয়। এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে হোসাইন মুহাম্মাদ জিলান মোটরসাইকেলযোগে তার ছোট ভাইকে বাসে তুলে দিতে শহরে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের দক্ষিণ বাজারের বাসস্ট্যান্ডে ওৎপেতে থাকা গিয়াস মেকানিকের ছেলে সাজু ও আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে ৭-৮ জন জিলানের গতিরোধ করে। এসময় পূর্ব বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিলানকে বেধড়ক মারধর শুরু করে সাজু ও আব্দুল্লাহ। জিলান প্রাণে বাঁচতে মোটরসাইকেল থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ডের সম্মুখে আয়েশা টেলিকম নামক একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ওই দোকানে ঢুকে সাজু ও আব্দুল্লাহ জিলানকে টেনে হিচড়ে সেখান থেকে বের করে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এবং কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে জিলান মারা যায়। ওই হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *