বেইলি রোডের আগুন-ই কেড়ে নিলো অ্যাডভোকেট শামীমের প্রান

ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে নিহত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের (৬৫) নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ৯টায় তার নিজবাড়ি উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুরে পারিবারিক গোরস্থানে ২য় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল হোসেন ইকবাল, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল প্রমুখ।

এ ছাড়া জানাজায় অংশ নেন সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।.

২য় জানাযার নামাজ উনার গ্রামের বাড়ী ব্রাহ্মণ্য বাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর মারদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ২ কুলাউড়া সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণ্য বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্ছু খান।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তিনিসহ দুইজন একসঙ্গে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান। ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করলেও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে কিছু না দেখায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন।

এ সময় ভিড়ের মাঝে আতাউর রহমান শামীম নিখোঁজ হয়ে গেলেও তার সাথে নূরুল আলম হেলিপ্যাডের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যান। পরে অ্যাডভোকেট শামীমের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।

আতাউর রহমান শামীমের পারিবারিক সুত্রে জানাজায়, গত ১ মাস পূর্বে নিহতের স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে দেশে এসেছেন। রবিবার আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো তাদের।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *