কুলাউড়ায় বোরো চাষের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁধ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা গোগালী ছড়ার পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলের হাওরে চলতি মৌসুমে বোরো চাষের জন্য কুলাউড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মুহিত বাবলুর অর্থায়নে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মরা গোগালীছড়ার ওই স্থানে কোনো স্লুইসগেট না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকানো সম্ভব হয় না। যার কারণে অনেকে চাইলেও বোরো ধান চাষে আগ্রহী হতে পারেন না।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকার কৃষক ময়ুব আলী, সাহেদ আহমদ, সাইফুর রহমানসহ কয়েজন ব্যক্তি সমাজসেবক আব্দুল মুহিত বাবলুর সহযোগিতা চান। পরে তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে উক্ত বাঁধ নির্মাণ করতে সক্ষম হন। এ বাঁধটি দেয়ার কারণে কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রাম, তিলকপুর, ভাগমতপুর, মৈন্তামসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা বোরো ধান চাষ করতে পারবেন। এ ছাড়াও পৌর এলাকার বিহালা, সোনাপুর, দেখিয়ারপুর, ভুকশিমইল ইউনিয়নের কাড়েরা, বড়দল এলাকার কৃষকরাও উপকৃত হবেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর রহমান বলেন, কোনো স্লুইস গেটের ব্যবস্থা না থাকায় এই বাঁধ নির্মাণ করার কারণে ছড়ার আশপাশের এলাকার কৃষকেরা বোরো ধান চাষ করতে পারবেন। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাবলু ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এর আগে ২০২১ সালে এরকম একটি বাঁধ করে আমাদেরকে বোরো ক্ষেতের উপযোগী করে দিয়েছেন। আমরা চাই যদি এখানে একটি স্থায়ী স্লুইসগেট করে দেওয়া হয় তাহলে স্থানীয়ভাবে কৃষকরা বোরো চাষের প্রতি আরো ব্যাপকভাবে উৎসাহী হবেন।

স্থানীয় ময়ুব আলী বলেন, পানির জন্য আমরা বোরো ধান আবাদ করতে বাধাগ্রস্ত হতে হয়। সরকারি কোনো সহযোগিতা না পেয়ে আমরা বাবলু ভাইয়ের সহযোগিতায় নিজেরাই বাঁধ নির্মাণ করছি।

আব্দুল মুহিত বাবলু বলেন, এই এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানির অভাবে বোরো ধান ফলনে আগ্রহী হন না। আমি এই বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক তাদের সাথে যোগাযোগ করে এখানে একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে সক্ষম হই। তবে সরকারি উদ্যোগে এখানে যদি একটি স্লুইস গেটের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে অনেক কৃষক বোরো ধান ফলনে আগ্রহী হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *