কুলাউড়ায় চার হাজার পরিবার পানিবন্দি
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার টিলাগাঁও, জয়চণ্ডী, সদর, রাউৎগাঁও ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের,কাদিপুর ইউনিয়নের শাহী ঈগাহর পশ্চিমে বিভিন্ন এলাকায় পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
সড়ক পথেও অনেক গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পানিবন্দিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার সব কটি নদনদীতে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজারের পাউবো। সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা বর্ষণে মনু ও ধলাই নদীর অন্তত ৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।
পাউবো জানিয়েছে, মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও মনু নদী শহরের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ২ ও জুড়ী নদী ভবানীপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি মুহূর্তে পানির পরিমাণ বাড়ছে। গত কয়েক বারের চেয়ে এবারের পানির স্রোত খুবই ভয়াবহ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্যখাতে। রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে পানিতে। বাড়িঘরে পানি উঠায় লোকজনরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, কুলাউড়ায় চার হাজার পরিবার পানিবন্দি,উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পানিবন্দিদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল সময় ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।