কুলাউড়ায় এতিমখানার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেললো দুর্বৃত্তরা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর জালালীয়া এতিমখানা ও কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর একদল দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন এতিমখানার সুপার মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রীপুর জালালীয়া এতিমখানা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সূচারুভাবে উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরাশ্রয় এতিম সন্তানেরা পড়াশোনা করে আসছে। বর্তমানে এতিমখানায় ৩০ জন ছাত্রকে লালন-পালনসহ স্থায়ীভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী দুস্কৃতিকারী ১৬ আগস্ট শুক্রবার গভীর রাতে এতিমখানার পূর্ব উত্তর অংশে প্রায় তিনশত ফুট সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এতিমখানার ছাত্ররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীপুর এতিমখানা ও শ্রীপুর জালালীয়া ফাজিল মাদ্রাসা নিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষের বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন থেকে। চলমান পরিস্থিতিতে ওই পক্ষ এই কাজটি করতে পারে এমনটাই ধারনা স্থানীয় লোকজন ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের। শ্রীপুর জালালীয়া এতিমখানার সভাপতি তাহিরুল হক বলেন, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের সাথে এতিমখানা নিয়ে বিরোধ চলছে। ওইপক্ষ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেন। কিন্তু মামলার রায়টি এতিমখানার পক্ষে আসে। এতিমখানার সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে শনিবার এতিমখানায় জরুরী সভা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হলে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
এতিমখানার সুপার মাওলানা শহীদুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে এতিমখানার সীমানা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখন প্রতিষ্ঠানের নিরাশ্রয় সন্তানেরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহি উদ্দিন বলেন, যারা এই কাজটি করেছে তা খুবই অন্যায়। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।